ফিজিও (শারীরিক) এবং থেরাপি (চিকিৎসা) শব্দ দুটি মিলে ফিজিওথেরাপি বা শারীরিক চিকিৎসার সৃষ্টি। ফিজিওথেরাপি আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্যতম এবং অপরিহার্য শাখা।
ফিজিও (শারীরিক) এবং থেরাপি (চিকিৎসা) শব্দ দুটি মিলে ফিজিওথেরাপি বা শারীরিক চিকিৎসার সৃষ্টি। ফিজিওথেরাপি আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্যতম এবং অপরিহার্য শাখা। ফিজিওথেরাপির একজন চিকিৎসক স্বাধীনভাবে রোগীর বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা (প্রধানত বাত-ব্যথা, আঘাতজনিত ব্যথা, প্যারালাইসিস ইত্যাদি) নির্ণয়ের পাশাপাশি পরিপূর্ণ চিকিৎসা সেবা প্রদান করে থাকেন। একজন দক্ষ ফিজিওথেরাপিস্ট বা বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্ট হতে হলে তাকে মেডিকেল সাইন্সের প্রত্যেকটা উইংস সম্পর্কে বিশেষভাবে অভিজ্ঞ হতে হবে। একজন ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের নিকট বিভিন্ন সমস্যাজনিত রোগী আসবে। যেমন অর্থোপেডিক, নিউরোমেডিসিন, কার্ডিয়াক সার্জারি, পেডিয়েট্রিক্স, জেরিয়েটিক্স, গাইনী, মেন্টাল, নিউরোসার্জারি, বার্ন ইত্যাদি। এ ক্ষেত্রে তাদের সঠিক রোগ নির্ণয় করে সঠিকভাবে ফিজিওথেরাপি দেয়া একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের দায়িত্ব। এ সময়ে একটু ভুল হলে একজন রোগি চিরতরে পঙ্গুত্ব বরণ করতে পারেন, এমন কি মারাও যেতে পারেন। সে জন্য একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টই একজন রোগীকে ফিজিওথেরাপি এডভাইস করে চিকিৎসা প্রদান করতে পারেন। ফিজিওথেরাপির সূচনা ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নতুন কোন চিকিৎসা পদ্ধতি নয়। প্রাচীন গ্রীসে হিপোক্রেটাস ম্যাসেজ ও ম্যানুয়াল থেরাপি দ্বারা ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার সূচনা করেছিলেন। খ্রিস্টপূর্ব ৪৬০ সালে হেক্টর ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার একটি শাখা ব্যবহার করতেন যাকে বর্তমানে হাইড্রোথেরাপি বলা হয়। তথ্য-উপাত্ত অনুসারে ১৮৯৪ সালে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার বর্তমান ধারা অর্থাৎ ম্যানুয়াল থেরাপি, ম্যানিপুলেটিভ থেরাপি, এক্সারসাইজ থেরাপি, হাইড্রোথেরাপি, ইলেক্ট্রোথেরাপি ইত্যাদি প্রবর্তন করা হয়। নিউজিল্যান্ডে ১৯১৩ এবং আমেরিকাতে ১৯১৪ সালে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা শুরু হয়।
ব্যাকপেইন আমাদের খুব সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর যখনই আপনি এ সমস্যায় পড়বেন নিজের সব কাজকর্ম বাদ দিয়ে বসে থাকবেন না। সচল থাকুন, দেখবেন ব্যথা আর বাড়তে পারবে না। আর বাড়িতে একটু চেষ্টা করলেই কমাতে পারেন এই অসহ্য ব্যথা। জেনে নিন কীভাবে করবেন এই কাজগুলো- অফিসে অনেকক্ষণ টানা বসে থাকবেন না। মাঝে মাঝে উঠুন, একটু হাঁটাচলা করুন।
ভারী জিনিস বেশিক্ষণ টানাটানি করলে ব্যাকপেইন হতে পারে। খুব বেশি সময় এই কাজ করবেন না। মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিন। আর ব্যাকপেইনের সমস্যা নিয়মিত দেখা দিলে অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপ্যি চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন। * ব্যাকপেইন কমানোর জন্য ফিটনেস এক্সপার্টের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ করার জন্য। আমরা জানিয়ে দিচ্ছি কিছু এক্সারসাইজের নিয়মাবলি। স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ- লো ব্যাকপেইন কমানোর জন্য এই এক্সারসাইজ করতে পারেন। সিঁড়ির সামনে সোজা হয়ে দাঁড়ান। সিঁড়ির তৃতীয় ধাপে ডান পা রাখুন। এরপর মেরুদÐ সোজা রেখে সামনের দিকে ঝুঁকে মাথা হাঁটুর কাছে নিয়ে যান। ১৫-২০ মিনিট এই অবস্থায় থেকে আবার ফিরে আসুন। এবার বাম পা সামনে নিন। পুনরায় একই কাজ করুন। তবে লক্ষ্য রাখবেন খুব বেশি সময় যেন না করে ফেলেন। এতে ক্ষতি হতে পারে। মিড ব্যাকপেইনের জন্য এক্সারসাইজ- হাঁটুর তলায় দু’হাত রেখে পা বুকের সামনে নিয়ে আসুন। এই অবস্থায় কয়েক সেকেন্ড থেকে আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসুন, এবার বিশ্রাম নিন। পা সোজা করে মাটিতে দাঁড়ান। ব্যালেন্স পাওয়ার জন্য দু’পায়ের মাঝে হাল্কা ফাঁকা রাখতে পারেন। এরপর মাথা ঝুঁকিয়ে পা ছোঁয়ার চেষ্টা করুন। দু’পা জোড়া করে দাঁড়িয়ে নিচের দিকে ঝোঁকার সময় দু’হাত হাঁটুতে রাখুন সাপোর্ট হিসেবে। এরপর হাত সরিয়ে নিন। ২০ সেকেন্ডের মতো এই অবস্থায় থেকে আবার সোজা অবস্থায় ফিরে আসুন, কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন। নিয়মিত ব্যায়ামগুলো করতে থাকলে আস্তে আস্তে ব্যথা কমে যাবে। চেষ্টা করুন সময় মেনে করার। আর ব্যায়াম করে শারীরিক কোনো সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
ঘাড় ও কোমর ব্যথার অন্যতম কারণ এই পিএলআইডি। মেরুদন্ডের লাম্বার ৪ এবং লাম্বার ৫ অথবা লাম্বার ৫ এবং স্যাক্রাল ১ ভার্টিব্রার মধ্যে অবস্থিত ইন্টারভার্টিব্রাল ডিস্ক স্থানচ্যুত হয়ে স্পাইনাল নার্ভ রুটে চাপ সৃষ্টি করায় এই রোগ হয়ে থাকে। যে কোনো বয়সে এই রোগ হতে পারে তবে ২০-৪৫ বছর বয়সের মাঝে বেশি হয়।
পিএলআইডি এর লক্ষণসমূহ ১। শরীরের যে পাশের নার্ভ রুট আক্রান্ত হয় সেই পাশে কোমরের নিচ থেকে সমস্ত পায়ের পিছনের অংশে ব্যথা হয়। ২। হাঁটতে গেলে হাঁটা শুরু করার সাথে সাথেই ব্যথা শুরু হবে। ৩। বিশ্রাম নিলে ব্যথা অনুভূত হবে না। ৪। আক্রান্ত পাশে স্নায়ু অনুভূতি কমে যায় এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে পা অবশ হয়ে যেতে পারে। ৫। পেশি দুর্বল হয়ে যায়। ৬। কিছু ক্ষেত্রে প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যেতে পারে। (টৎরহধৎু ৎবঃবহঃরড়হ হতে পারে) যে সব কারণে পিএলআইডি হতে পারে ১। সামনে ঝুকে কোনো কাজ করা (সামনে ঝুঁকে ভারী বোঝা উঠানো, কাপড় কাঁচা ইত্যাদি)। ২। মেরুদÐের স্বাভাবিক বাঁক (পঁৎাধঃঁৎব) ঠিক না রেখে দীর্ঘক্ষণ বসে কোনো কাজ করা। প্রয়োজনীয় ইনভেস্টিগেশন